হোয়াটসঅ্যাপ হ্যাকিং চারটি ভয়ঙ্কর কৌশল


বিশ্বজুড়ে কোটি কোটি মানুষ যে মেসেজিং অ্যাপ ব্যবহার করেন, তা হলো হোয়াটসঅ্যাপ। শক্তিশালী নিরাপত্তা এবং এন্ড-টু-এন্ড এনক্রিপশন থাকা সত্ত্বেও প্রতিনিয়ত হ্যাকাররা নিত্যনতুন কৌশলে হোয়াটসঅ্যাপ ব্যবহারকারীদের অ্যাকাউন্ট হ্যাক করে যাচ্ছে। শুধু তথ্য চুরিই নয়, হ্যাক হওয়া অ্যাকাউন্ট থেকে প্রতারণামূলক বার্তাও পাঠানো হচ্ছে। বর্তমানে হোয়াটসঅ্যাপ হ্যাকিংয়ের চারটি প্রধান কৌশল বেশি ব্যবহৃত হচ্ছে।

ওটিপি চুরি

এটি হোয়াটসঅ্যাপ হ্যাকিংয়ের সবচেয়ে প্রচলিত পদ্ধতি। হ্যাকাররা বিভিন্ন লোভনীয় অফারের কথা বলে ব্যবহারকারীদের কাছ থেকে ছয় ডিজিটের ভেরিফিকেশন কোড (ওটিপি) সংগ্রহ করে। এ ধরনের প্রতারণা ওটিপি ফিশিং নামে পরিচিত। কখনও হোয়াটসঅ্যাপ সাপোর্ট সেন্টারের ভুয়া পরিচয় আবার কখনও পরিচিত ব্যক্তিদের নাম
ব্যবহার করে মেসেজ পাঠায় হ্যাকাররা। এরপর পুরস্কার বা উপহারের লোভ দেখিয়ে ওটিপি সংগ্রহ করে অ্যাকাউন্ট হ্যাক করে নেয়।

সিম সোয়াপ

সিম সোয়াপ হ্যাকিং কৌশলটি ব্যবহার করে হ্যাকাররা ভুক্তভোগীর সিম কার্ড নকল করে থাকে। এই সিমের সাহায্যে হ্যাকাররা নির্দিষ্ট ব্যক্তির হোয়াটসঅ্যাপ অ্যাকাউন্টের নিয়ন্ত্রণ নেয়। এরপর টু-ফ্যাক্টর অথেনটিকেশনসহ নিরাপত্তা সেটিংস পরিবর্তন করে ফেলে।

হোয়াটসঅ্যাপ ওয়েব হাইজ্যাক

হোয়াটসঅ্যাপের ওয়েব সংস্করণ ব্যবহার করে হ্যাকাররা এই কৌশলটি প্রয়োগ করে। সাধারণত নির্দিষ্ট ব্যক্তির ফোন কিছু সময়ের জন্য সংগ্রহ করে, গোপনে হোয়াটসঅ্যাপ ওয়েবের মাধ্যমে অ্যাকাউন্ট লগইন করে নেয়। এটি সাধারণত অফিস বা বাড়িতে আশপাশের পরিচিতদের মাধ্যমেই বেশি ঘটে।

মার্জ কল

এই কৌশলে প্রথমে হ্যাকাররা পরিচিত ব্যক্তির নাম পরিচয় ব্যবহার করে ভুক্তভোগীকে ফোন করে। এরপর ফোন চালু থাকার সময় হ্যাকার জরুরি কারণ দেখিয়ে অন্য একটি নম্বরকে কলে যুক্ত করার অনুরোধ জানায়। ব্যবহারকারী সম্মতি দিলেই কলটি ওটিপি যাচাইকরণ কল হিসেবে কার্যকর হয় এবং হ্যাকার সহজেই ওটিপি সংগ্রহ করে অ্যাকাউন্ট নিয়ন্ত্রণ নেয়।


Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url